ক্রমিকনং |
উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহের নাম |
বিবরণ |
বাস্তবায়ন ও আগ্রগতি |
১ | দুর্যোগে আলোর গেরিলা (২০২০-২১ অর্থবছর) | 'সকল ত্যাগে পল্লী বিদ্যুৎ রাখিব সচল’ মূলমন্ত্র ও দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সারাদেশে কাজ করছে পল্লী বিদ্যুতের ‘দুর্যোগে আলোর গেরিলা’। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, গ্রীষ্মের তাপদাহ এবং বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দ্রুত নিরসনের জন্য "সকল ত্যাগে পল্লী বিদ্যুৎ রাখিব সচল" মূলমন্ত্র ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে পল্লী বিদ্যুতের উদ্ভাবনী উদ্যোগ "দুর্যোগে আলোর গেরিলা"। যে কোন পরিস্থিতিতে সকল গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় পল্লী বিদ্যুতের প্রধান লক্ষ্য। | বর্তমানে সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে সেবাটি চালু রয়েছে। |
২ |
API ভিত্তিক অনলাইনে বিল পরিশোধ সেবা |
গ্রাহকের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করতে বাপবিবো কর্তৃক পোস্টপেইড গ্রাহকদের অনলাইন/ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের সিস্টেম (API ভিত্তিক অনলাইনে বিল পরিশোধ সেবা) বাস্তবায়ন করা হয়েছে । বিস্তারিত পড়ুন..... |
বর্তমানে ১৭ টি সমিতিতে এই সার্ভিস চলমান আছে। |
৩ | শিল্প গ্রাহকদের অনলাইন আবেদন চালুকরণ(২০২০-২১ অর্থবছর) |
সনাতন বিদ্যুৎ সংযোগ পদ্ধতিতে বিদ্যমান সমস্যাসমূহকে হ্রাস করে গ্রাহক হয়রানি বন্ধকরণ, মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ব দূরীভুতকরণ এবং সময় ও অর্থের সাশ্রয় করে সন্তোষজনক গ্রাহক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে শিল্প গ্রাহকদের অনলাইন আবেদন চালু করা হচ্ছে । এ পদ্ধতিতে শিল্প সংযোগ প্রত্যাশীদের একবারও সমিতিতে আসতে হয় না । |
(সেবা পদ্ধতি সহজীরণ (২০২০-২১ অর্থবছর) সংক্রান্ত দপ্তরাদেশ ডাউনলোড করুন) লিংকঃ https://industry.rebpbs.com/
|
৪ |
মোবাইল এ্যাপ “পল্লী বিদ্যুৎ সেবা” (২০১৯-২০ অর্থবছর) |
গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে পল্লীবিদ্যুৎ এর বিদ্যুৎ বিল, বিদ্যুৎ ব্যবহার ও অভিযোগ এখন হাতের মুঠোয়। অনলাইনের (মোবাইল এ্যাপ) মাধ্যমে গ্রাহক পরিসেবায় নতুন মাত্রা যোগ । |
লিংকঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=org.breb.pollibiddut |
৫ | পল্লী বিদ্যুতের উঠান বৈঠক (২০১৯-২০ অর্থবছর) |
সারাদেশে সকল সমিতিতে উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। এ সকল বৈঠকে গ্রাহক হয়রানি নির্মুল ও দালাল প্রতিরোধ, নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ, গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয় । |
৮০টি পবিস এ চলমান |
৬ |
Fault Locator (২০১৯-২০ অর্থবছর) |
পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে ঝড়, বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দূর্যোগে ৩৩/১১ কেভি লাইনে ত্রুটি(Fault) সংগঠিত হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে, সমস্যার স্থান ও ধরন জানা অনেক সময় দূরুহ হয়ে পড়ে।ফলে একদিকে যেমন গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ সেবা হতে বঞ্চিত হন অপরদিকে লাইন ক্রু-গণেরও ফল্ট খুঁজে সমাধান করতে দীর্ঘ সময় ও শ্রম ব্যয় হয়। এ অবস্থা উত্তোরণের লক্ষ্যে আরইবি‘র নূতন উদ্ভাবনী Fault Locator System. এ পদ্ধতিতে ১১কেভি ফিডারে কয়েকটি সেকশন করে প্রতিটি সেকশনে একটি করে sensor based locator স্থাপন করে সংশ্লিষ্ট সেকশনে বিদ্যুৎ আছে কি নাই তা অনলাইনে যে কোন স্থান হতে মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে দ্রুত ফল্ট এরিয়া চিহিৃত হচ্ছে এবং তার সমাধানও দ্রুত করা যাচ্ছে, যা গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে আরইবি‘কে একধাপ এগিয়ে রাখবে। একই সংগে এ পদ্ধতিতে কেবলমাত্র ফল্টি সেকশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বাকি সেকশনগুলো চালু থাকবে। |
পাবনা পবিস-১ এ পাইলট ভিত্তিতে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। |
৭ |
আলোর ফেরিওয়ালা |
বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে আর অফিসে দৌড়ঝাপ নয়, বরং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকেরাই হাজির গ্রাহকের বাড়িতে। ফেরি করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে চলছে আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসূচি। ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কার্যক্রমের আওতায় একটি মটর চালিত ভ্যানে করে মিটার, সার্ভিস ড্রপ তার, অফিসিয়াল রশিদ বই, জামানত জমা গ্রহনের রশিদ বই, আবেদন ফর্ম, ০২ জন লাইনম্যান, ০১ জন ওয়্যারিং পরিদর্শক বা ০১ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজনীয় টুলস সহ গ্রাহকের দরজায় গিয়ে আবেদন গ্রহন কর। আবেদন মোতাবেক সকল তথ্য, কাগজপত্র , ওয়্যারিং যাচাই করে সঠিক থাকলে প্রয়োজনীয় নির্ধারিত ফি স্পটেই অফিসিয়াল রশিদের মাধ্যমে গ্রহন করে ০৫ মিনিটের মধ্যে গ্রাহকের নতুন সংযোগ প্রদান করে।গ্রাহক সংযোগ দেয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের সমাধান দিচ্ছে আলোর ফেরিওয়ালা। |
৮০টি পবিস এ চলমান |
৮ |
পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন সংযোগ সিস্টেম |
সনাতন বিদ্যুৎ সংযোগ পদ্ধতিতে বিদ্যমান সমস্যাসমূহকে হ্রাস করে গ্রাহক হয়রানি বন্ধকরণ, মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ব দূরীভুতকরণ এবং সময় ও অর্থের সাশ্রয় করে সন্তোষজনক গ্রাহক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে “পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন সংযোগ সিস্টেম” উদ্ভাবনী ধারনার প্রবর্তন। এ পদ্ধতিতে সংযোগ প্রত্যাশীদের একবারও সমিতিতে আসতে হয় না এবং সমিতির কর্মচারীদেরও কেবলমাত্র মিটার সংযোগের জন্য একবার গ্রাহক প্রান্তে যেতে হয়। গ্রাহক ও সমিতির কর্মকর্তাদের কোন পর্যায়ে সরাসরি সাক্ষাতের প্রয়োজন না থাকায় গ্রাহক হয়রানি এবং দূর্নীতির কোন সুযোগ নেই। গ্রাহক অনলাইনে/মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জামানতের টাকা পরিশোধ করতে পারেন। |
(সেবা পদ্ধতি সহজীরণ (২০১৯-২০ অর্থবছর)সংক্রান্ত দপ্তরাদেশ ডাউনলোড করুন) |
৯ |
“ট্রান্সফর্মার মেইনটেনেন্স এন্ড লোড ম্যানেজম্যান্ট” (TMLM) সিস্টেম |
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহারকে (KWH) ভিত্তি ধরে প্রত্যেক গ্রাহকের প্রকৃত লোড সনাক্তকরণ পূর্বক বিতরণ ট্রান্সফরমারের লোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানা যায়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিতরণ ট্রান্সফরমার সময়মত আপ-গ্রেড/ মেনটেইনেন্স করে ট্রান্সফরমার পোড়ার হারও সিস্টেমলস নিয়ন্ত্রন করাসহ নানাবিধ সুবিধা পাওয়া যায়। |
সারাদেশের ৮০ টি পবিসে চালু করা হয়েছে। |
১০ |
ইলেক্ট্রনিক মিটার রিডিং সিস্টেম (eMRS) |
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের বিলিং কার্যক্রমকে নির্ভূল এবং সহজিকরণের নিমিত্তে “ইলেক্ট্রনিক মিটার রিডিং সিস্টেম (EMRS) ”উদ্ভাবনী ধারণার আবির্ভাব। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে একটি Android Mobile ফোনের সাহায্যে মিটারের image থেকে মিটার রিডিং digital format এ পরিবর্তন করে সমিতির billing database এ প্রবেশ করানো যায়। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল প্রণয়নে মিটার রিডিং ম্যানুয়ালী গ্রহণ বা এন্ট্রির প্রয়োজন হয় না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এন্ট্রিকৃত মিটার রিডিং প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল জেনারেট করা যায়। |
ময়মনসিংহ পবিস-২ এ পাইলট ভিত্তিতে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। |